আত্মহত্যা নাকি খুন - পর্ব ১ - গোয়েন্দা কাহিনী / রহস্য

আত্মহত্যা নাকি খুন
লেখক: আল মারুফ
পর্ব ১


আমার ফুফাতো বোন লিমা আমাকে পাশের গ্রামের রাইসার সাথে কিছুটা কাছাকাছি হয়ে হাঁটতে দেখে মুহূর্তেই তাঁর মুখোমন্ডলখানিতে রক্তিম আভা ছেঁয়ে গেলো। আমারও ঠিক ধারণাতে ছিলোনা যে লিমা এই মুহূর্তে এখানে আসবে। আমি এইবিষয়ে লিমাকে আটকিয়ে যখন কিছু বলতে যাবো ঠিক সেইমুহূর্তেই সে অনেকটা হনহন করেই প্রস্থান করলো।
.
রাইসার বাড়ি আমাদের পাশের গ্রামে হলেও ওর সাথে আমাদের কোনো আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই কিন্তু আমরা একই স্কুলে পড়ালেখার সুবাধে ওকে আমি সেই ছোটবেলা থেকেই চিনি। স্কুল পেড়িয়ে যখন কলেজে উঠি তখনও আমরা দুজনই গঞ্জের কলেজে একসাথেই পড়ালেখা করতাম। রাইসার তুলনায় আমি বেশ মেধাবী হওয়াতে এইচএসসি পরীক্ষা শেষে বাবা আমাকে পাঠিয়ে দেন শহরে কোচিং করার জন্য। অতঃপর অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে এবং প্রভুর কল্যাণেই আমি চান্স পেয়ে যাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরদিকে রাইসা ভর্তি হয় আমাদেরই জেলা শহরের কলেজে। আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসতাম সেই স্কুল জীবন থেকেই কিন্তু এই বিষয়ে দুই পরিবারের কেউতো দূরের কথা গ্রামের বন্ধুবান্ধবরাও জানতো না। কিন্তু আজ লিমা আমাদের উভয়কে একসাথে দেখে ফেলায় দুজনেই বেশ ভয় পেয়ে গেলাম। কারণ আমার বিষয়টা আমি হাবাজাবি বলে মানিয়ে নিতে পারলেও রাইসার পরিবার যদি এবিষয়ে সামান্যতম কিছু জানতে পারে তবে আর রক্ষে নেই। কারণ গ্রামের মেয়েদের এমনিতেই বয়স আঠারো পেড়োলেই বিয়ের আসনে বসতে হয় কিন্তু রাইসা অনেক কষ্টে ওর বাবা মাকে রাজি করিয়ে পড়ালেখা চালু রেখেছে। আর এসবের মাঝে ওর বাবা মা যদি ওর অন্যত্র কোনো সম্পর্কের ব্যপারে জানতে পারে তবে তাঁরা একমুহূর্ত দেরী করবেন না ওকে বিয়ে দিতে।
লিমা চলে যাওয়ার পর রাইসা অনেকটা ভয়ার্ত গলাতেই আমাকে জিজ্ঞেস করলো,
-এখন কি হবে?
-জানিনা, কিন্তু লিমাকে যেভাবেই হোক আটকাতে হবে। এসব ঘটনা যদি বাবা মায়ের কানে যায় তবে এক কান দুকান করে তোমার বাড়িতে চলে যেতেও সময় নেবে না। তুমি এখন বাসায় যাও আমি দেখি কোনোভাবে লিমাকে আটকানো যায় কিনা?
রাইসা আমার কথায় সায় দিয়ে ওর বাড়িতে চলে গেলো। এদিকে আমি দ্রুত পায়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা দিলাম কারণ এখন আমার একটাই উদ্দেশ্য লিমাকে আটকানো।
.
বাড়িতে উপস্থিত হয়ে কোথাও লিমাকে খুঁজে না পেয়ে আমার মনের ভয়টি তীব্র থেকে তীব্রতর হতে শুরু করলো। আমাদের ঘরে ঢুকেই আমি মাকে জিজ্ঞেস করলাম,
-মা, তোমার কাছে কি লিমা এসেছিলো?
-না কেন?
-এমনি কিছুনা।
আমার কথা শুনে তিনি আর কিছু না বলে ঘরের কাজকর্মে নিজেকে ব্যস্ত করে নিলেন। লিমাদের ঘর আমাদের পাশেই এর অবশ্য বেশ কিছু কারণও রয়েছে। লিমার আম্মু অর্থাৎ আমার ফুফু ছিলেন আমার দাদার একমাত্র মেয়ে একইসাথে ছিলেন সবার ছোট। এর আগে যদিও আমার দাদীর কোলজুড়ে আরো দুটি মেয়ে এসেছিলো কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত কারণবসত একবছরের মাথাতেই তাঁরা মারা গিয়েছিলেন। সেই হিসেবে আমার ফুফু ছিলেন আমার দাদা দাদীর নিকট এক রাজকন্যার মতোই। তাই তাঁরা কখনোই নিজের মেয়েকে অন্যের ঘরে পাঠানোর পক্ষে ছিলেন না ফলস্বরূপ আমাদের বাপ চাচাদের সম্মতিক্রমে আমার দাদা মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ঘরজামাই রাখার সিদ্ধান্তে উপনীত হন। একমাত্র বোন হওয়াতে আমার চাচারাও আমার ফুফুকে প্রচন্ড ভালোবাসতেন তাই তাঁরাও নিজেদের বোনকে দূরে ঠেলে দেওয়ার প্রশ্ন মাথাতেই আনেননি।
.
বিকালে যখন আমি উঠোনে বসে রাইসার সাথে মেসেজে কথা বলছিলাম ঠিক সেই সময়েই দেখতে পাই লিমা অনেকটা ভাবলেশহীন ভঙ্গিতে ওদের ঘরে প্রবেশ করছে। অথচ অন্যদিন হলে ঠিকই আমার সাথে কথা বলার জন্য উদগ্রীব হয়ে দৌড়ে চলে আসতো। বিষয়টি আমাকে বেশ ভাবালেও তেমন কিছু বললাম না তবে সিদ্ধান্ত নিলাম রাতে খাবার খাওয়ার পরই ওর সাথে একান্তে সেই বিষয়ে কথা বলবো।
.
রাতে যখন খাবার টেবিলে বসে সবাই খাবার খাচ্ছিলাম তখনি বাবা আচমকাই বলে উঠলেন,
-শুনলাম ইদানিং নাকি তুমি মেয়েদের সাথে ঘেঁসাঘেঁসি শুরু করেছো।
বাবার এমন কথা শুনে আমার হৃৎপিন্ডে ধুক করে একটি প্রকম্পন হলো বোধহয়। তাহলে লিমা বাবাকে কি সবকিছু বলে দিয়েছে? এসব ভাবতে ভাবতেই আমি কিছুটা থতমত খেয়ে বাবাকে বললাম,
-কে বলেছে এসব? নিশ্চই তোমার কাছে আমাকে খারাপ বানানোর চেষ্টা করেছে।
আমার কথা শুনে তিনি ফিক করে হেসে উঠেই বললেন,
-কেউ বলেনি তবে তোমাকে আমি একটু চুকে দেখলাম আরকি। যাইহোক পড়ালেখা কেমন চলছে সেখানে?
বাবার কথায় আমি কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বললাম,
-হ্যাঁ ভালোই। তুমিতো জানোই পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে তেমন পড়ালেখার চাপ নেই। দিনের অধিকাংশ সময়টাই টিউশনি করে পার করে দেই।
এভাবেই বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর খাবার টেবিল থেকে সবাইকে বিদায় জানিয়ে নিজের রুমে চলে আসলাম। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর মনে পরলো লিমার সাথেতো দেখা করার কথা ছিলো। যেই ভাবা সেই কাজ, ঘর থেকে বের হওয়ার সময়ে চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার দেখে আমার কিছুটা ভয় লাগতে শুরু করলো। ছোটবেলা থেকেই গ্রামে থাকা সত্ত্বেও আমি কেন যেন অন্ধকারকে একটু বেশিই ভয় পাই। ফুফুদের ঘরটা আমাদের ঘর থেকে অতোটা দূরে না হলেও একটু দূরেই বটে। মোবাইলের টর্চ লাইটটি জালিয়ে বেশ ভয়ে ভয়েই ফুফুদের ঘরের দিকে এগোচ্ছি। কিছুটা দূর যাওয়ার পর হঠাৎই আমার মনে হলো কেউ আমাকে দেখে হয়তো পাশের ঝোপের মাঝে নিজেকে লুকিয়ে নিয়েছে। আমি কিছুটা ভয় ও কৌতুহল নিয়ে আচমকাই বলে উঠলাম,
-কে রে ওখানে?
কিন্তু আমার কথার প্রতিউত্তরে কেউ সাড়াশব্দ করলোনা উল্টো আমাকে ঝোপের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে পরক্ষণেই লোকটি দৌড়ে পালিয়ে গেলো। আমার মোবাইল টর্চের আলো বেশি তীক্ষ্ম না হওয়াতে লোকটিকে স্পষ্টভাবে দেখার সুযোগ হলোনা। তবে যতটুকু মনে হলো নিশ্চই লোকটি একজন চোর হবে নয়তো এভাবে আমাকে দেখে লুকানোরই বা কি আছে? এসব বিষয় ভাবতে ভাবতেই লিমাদের ঘরের দিকে এগিয়ে গেলাম। লিমাদের ঘরের কাছাকাছি আসতেই পিছন থেকে কেউ ডাক দিলো, পিছনে তাকাতেই দেখি আমার চাচাতো ভাই লিমন। বয়সে ও আমার থেকে দুইবছরের বড় হলেও ছোটবেলা থেকেই আমাদের মাঝে সম্পর্কটা ছিলো বেশ বন্ধুসুলভ। লিমন কিছুটা অবাক হয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলো,
-কিরে এতোরাতে ফুফুদের বাসার সামনে কি করিস? আর তুই বাড়িতে আসলি যে সেটাতো আমাকে জানালিও না।
-ওহহো, আসলে আজ ভোরে এসেছি আর বাসা থেকেও তেমন বের হইনি তাই তোকে জানানো হয়নি। সারাদিন বাসাতেই ছিলাম তাই চিন্তা করলাম এখন ফুফুর সাথে একটু কথা বলেই যাই। তুই এখানে কি মনে করে?
আমার কথায় লিমন কিছুটা মুচকি হেসে উত্তর দিলো,
-দেখছিস না কাঁধে জাল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি? রাতে মাছ ধরার মজাটাই আলাদা বুজলি?
ওর কথায় আমি কিছুটা কৌতুহল নিয়ে বললাম,
-তুই রাতে একা একা মাছ ধরিস কিভাবে? ভূতে ভয় পাস না?
আমার কথায় লিমন অট্টহাসি দিয়ে বললো,
-ভূতেদের আমরা পানিশমেন্ট দেই ওদেরকে ভয় পাওয়ার কি আছে? আমিতো জানতাম শহরের ছেলেরা ভূতে বিশ্বাস করেনা আর তুই এখনো ভূতের গপ্প নিয়ে পরে আছিস?
-ধুর বাদ দে। আচ্ছা গ্রামে কি ইদানিং চোরের উপদ্রপ বেড়ে গেছে নাকি?
-কেনো বলতো?
-একটু আগেই আমি ফুফুদের বাসায় আসার পথে কেউ একজন আমাকে দেখে পালিয়ে গেলো। ওর চেহারাটাও দেখতে পারলাম না।
-বলিস কি? গত পাঁচবছরেতো আমাদের গ্রামে কোনো চুরির রেকর্ড নেই হয়তো তুই ভূতটূতই দেখেছিস মনে হয়।
এই বলেই ও পুনরায় আবার অট্টহাসিতে ফেঁটে পরলো। অতঃপর বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর লিমনকে বিদায় জানিয়ে ফুফুদের ঘরে নক করলাম। দুইতিনবার নক করার অন্তর ভেতর থেকে লিমা বলে উঠলো,
-কে?
-আমি ফাহিম। দরজা খোল।
আমার কন্ঠ শুনে তৎক্ষনাৎ লিমা দরজা খুলে দিয়েই আমাকে ভেতরে ঢুকিয়ে পুনরায় দরজাটি লাগিয়ে দিলো। কিন্তু ঘরের মধ্যে লিমাকে ব্যতীত আর কাউকে দেখতে না পেয়ে আমি কিছুটা অবাক হয়ে ওকে জিজ্ঞেস করলাম,
-কিরে ফুফু কই?
-ওনারা বিকালে আমার দাদু বাড়ি গেছে। দাদীর শরীরটা নাকি ভালো নেই।
-ওহ আচ্ছা। যাই হোক তোকে একটা কথা বলার ছিলো।
লিমা নিজের মুখখানি অন্যদিকে ঘুরিয়ে বলে উঠলো,
-জানি কি বলবেন। আমি সকালে যা দেখেছি সেটা যেন কাউকে না বলি তাইতো?
লিমার কথায় আমি কিছুটা ইতোস্তত ভঙ্গিতে বললাম,
-না মানে আসলে রাইসাকে আমি দীর্ঘ পাঁচবছর যাবৎ ভালোবাসি কিন্তু এটা কেউই জানেনা। এখন যদি এই বিষয়টা কোনোভাবে লিক হয়ে যায় তাহলেতো বুঝতেই পারছিস কি একটা অঘটন ঘটে যাবে। তুই প্লিজ বিষয়টা কাউকে বলিস না।
লিমা রক্তিম চোখ নিয়ে বেশ কঠোর কন্ঠে বললো,
-আচ্ছা বলবোনা।
ওর এভাবে কথা বলা দেখে আমি অবাকই হলাম বটে।
-তুই কোনো কারণে আমার উপরে রেগে নেইতো?
এবার লিমা কিছুটা ভাঙ্গা গলায় সূক্ষ্ম কন্ঠে বলে উঠলো,
-যাকে পছন্দ করি তাঁর উপরে কি রাগ করে থাকতে পারি?
ওর কথায় আমি হতবিহ্বল হয়ে গেলাম।
-মানে? কি বলছিস এসব?
-আরে কিছুনা। এমনি মজা করেছি। আচ্ছা আপনি বসেন আমি আপনার জন্য বিস্কুট নিয়ে আসি।
-না না ওসবের দরকার নেই। আর ঘরে যেহেতু তুই একা তাই বেশিক্ষণ থাকাটাও ঠিক হবেনা। কখন আবার কে কি বলে বসে ঠিক নেই। আমি যাই এখন।
-আরেকটু বসেন।
-কাল ফুফু আসলে বসবোনে। আজ যাই।
অতঃপর লিমার থেকে বিদায় নিয়ে আমি ঘরে চলে আসলাম। সত্যি বলতে সেদিন রাতে আমার একটুও ঘুম হয়নি বরং পুরোটা রাতে বারবারই লিমার বলা কথাটুকু আমার মধ্যকর্ণে আঘাত করছিলো। তারমানে লিমা কি আমাকে সত্যিই ভালোবাসে? এসব ভাবতে ভাবতে শেষ রাতের দিকে আমার চোখে ঘুম চলে আসলেও সকালের দিকে কারো হইহুল্লোড় শুনে আচমকাই আমার কাঁচা ঘুমটি ভেঙ্গে যায়। কিছুটা কৌতুহল নিয়ে চোখ কচলাতে কচলাতে যখন নিজের রুম ছেড়ে ডাইনিং রুমে চলে আসি তখন ঘরের ভিতরে কাউকে দেখতে না পেয়ে আমি অবাক হয়ে যাই। বাহিরে চিল্লাচিল্লির আওয়াজ শুনে যখন ঘরের দরজা থেকে বাহিরে তাকাই তখন দেখতে পাই আশেপাশের মহিলা পুরুষ থেকে শুরু করে বাচ্চা পর্যন্ত আমার ফুফুর ঘরের দিকে দৌড়ে গিয়ে ভীড় জমাচ্ছে। তাঁদেরকে এভাবে দৌড়াতে দেখে আমি কোনোমতে নিজের মুখোমন্ডলটুকু ধৌত করে লিমাদের ঘরের দিকে দ্রুত পায়ে এগিয়ে গেলাম। ভীড় ঠেলে ভিতরে ঢুকতেই দেখতে পাই আমার প্রাণপ্রিয় ফুফু অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পরে রয়েছে আর তাঁর মাথায় কিছু মহিলা পানি ঢালছে। অপরদিকে আমার ফুফা মাথায় হাত দিয়ে পাশেই একটি চেয়ারে বসে রয়েছে। আশেপাশের কিছু মহিলা ন্যাকা কান্না করে নিজেদের শোক লোপণ করতেও দেরী করছে না। পাশেই আমার চাচাতো ভাই লিমনকে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ওকে জিজ্ঞেস করলাম,
-কিরে কি হয়েছে এখানে?
-লিমা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
লিমনের কথা শুনে আমার মনে হলো কেউ বোধহয় আমার মাথায় দশহাজার ভোল্টের বজ্রাঘাত করেছে। আমি মুহূর্তেই পাথরের ন্যায় স্থিরচিত্তে দাঁড়িয়ে গেলাম, সামান্য শ্বাস প্রশ্বাস নিতেও আমার প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি এ্যাম্বুলেন্সসহ একটি পুলিশ ফোর্স আমাদের বাড়িতে উপস্থিত হলো। তাঁরা লিমার লাশটি নামিয়েই সারাঘরে তন্নতন্ন করে সবকিছু চেক করতে লাগলো। তবে তাঁদের ক্লু পেতে বেশি বেগ পেতে হলোনা কারণ টেবিলের উপরেই লিমা একটি সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছে এবং সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হলো সে আত্মহত্যার জন্য আর কাউকে দায়ী করেনি বরং স্বয়ং আমাকেই দায়ী করেছে। আসলেই কি লিমার আত্মহত্যার জন্য ফাহিম দায়ী নাকি পরিকল্পিতভাবে কেউ লিমাকে হত্যা করে ফাহিমকে দোষী বানিয়েছে? প্রশ্নটা থেকেই যায়...
.
চলবে
.

© bnbooks.blogspot.com

Bnbooks is one of the largest archieve storage of pdf books, Bengali story, Bangla Kobita, Lyrics and all Kinds of Literature. Tags: Free Bangla pdf books download, Bangla Kobita, Technology News, Song Lyrics.