চৌদ্দ উইড়া যায়রে হংস পক্ষি পইড়া রয়রে ছায়া ; দেশের মানুষ দেশে যাইব—কে করিবে মায়া | — মুর্শিদা গান আজো এই গাঁও অঝোরে চ…

তেরো   বিদ্যাশেতে রইলা মোর বন্ধুরে | বিধি যদি দিত পাখা, উইড়া যাইয়া দিতাম দেখা ; আমি উইড়া পড়তাম সোনা বন্ধুর দেশেরে |…

(বার) রাইত তুই যা রে পোহাইয়ে | বেলা গে ল সন্ধ্যা হৈল—ও হৈলরে! গৃহে জ্বালাও বাতি, না জানি অবলার বন্ধু আসবেন কত রাতিরে! …

এগার সাজ সাজ বলিয়ারে শহরে পৈল সাড়া, সাত হাজার বাজে ঢোল চৌদ্দ হাজার কাড়া | প্রথমে সাজিল মর্দ আহ্লাদি ডগরি, পাঁচ কাঠে …

দশ বড় ঘর বান্দাছাও মোনাভাই বড় করছাও আশা রজনী প্রভাতের কালে পঙ্খী ছাড়বে বাসা | . — মুর্শীদা গান নতুন চাষা ও নতুন চাষ…

নয় মত্স চেনে গহিন গম্ভ পঙ্খী চেনে ডাল ; মায় সে জানে বিটার দরদ যার কলিজার শ্যাল! নানান বরণ গাভীরে ভাই একই বরণ দুধ ; জগৎ…

আট “কি কর দুল্যাপের মালো ; বিভাবনায় বসিয়া, আসত্যাছে বেটির দামান ফুল পাগড়ি উড়ায়া নারে |” “আসুক আসুক বেটির দামান কিছু …

সাত “ঘটক চলিল চলিল সূর্য সিংহের বাড়িরে” | — আসমান সিংহের গান কান্-কানা-কান্ ছুটল কথা গুন্-গুনা-গুন তানে, শোন্-শোনা-শো…

ছয় ও তুই ঘরে রইতে দিলি না আমারে | . — রাখালী গান ঘরেতে রূপার মন টেকে না যে, তরলা বাঁশীর পারা, কোন বাতাসেতে ভেসে যেতে চ…

পাঁচ লাজ-রক্ত হইল কন্যার পরথম যৌবন — ময়মনসিংহ গীতিকা আশ্বিনেতে ঝড় হাঁকিল, বাও ডাকিল জোরে, গ্রামভরা-ভর ছুটল ঝপট লট্ পট…

চার কানা দেয়ারে, তুই না আমার ভাই, আরও ফুটিক ডলক দে, চিনার ভাত খাই — মেঘরাজার গান চৈত্র গেল ভীষণ খরায়, বোশেখ রোদে ফাটে,…

তিন চন্দনের বিন্দু বিন্দু কাজলের ফোঁটা কালিয়া মেঘের আড়ে বিজলীর ছটা — মুর্শিদা গান ওই গাঁখানি কালো কালো, তারি হেলান দি…

দুই এক কালা দতের কালি যা দ্যা কলম লেখি, আর এক কালা চক্ষের মণি, যা দ্যা দৈনা দেখি, —ও কালা, ঘরে রইতে দিলি না আমারে | — …

এক বন্ধুর বাড়ি আমার বাড়ি মধ্যে ক্ষীর নদী, উইড়া যাওয়ার সাধ ছিল, পাঙ্খা দেয় নাই বিধি | — রাখালী গান এই এক গাঁও, ওই এক …

(রূপক নাটিকা) ওলো সোনার বরণী, তোমার সিন্দুর নি নিবারে সজনি! রাঙা তোমার ঠোঁটরে কন্যা, রাঙা তোমার গাল, কপালখানি রাঙা নইল…

জলের উপরে চলেছে জলের মেয়ে, ভাঙিয়া টুটিয়া আছড়িয়া পড়ে ঢেউগুলি তটে যেয়ে। জলের রঙের শাড়ীতে তাহার জড়ায়ে জড়ায়ে ঘুরি, মাতাল ব…

তারাবি নামাজ পড়িতে যাইব মোল্লাবাড়িতে আজ, মেনাজদ্দীন, কলিমদ্দীন, আয় তোরা করি সাজ। চালের বাতায় গোঁজা ছিল সেই পুরাতন জুতা…

খেতের পরে খেত চলেছে, খেতের নাহি শেষ সবুজ হাওয়ায় দুলছে ও কার এলো মাথার কেশ। সেই কেশেতে গয়না ও পরায় প্রজাপতির ঝাঁক, চঞ্চ…

বস্তীর বোন, তোমারে আজিকে ছেড়ে চলে যেতে হবে, যত দূরে যাব তোমাদের কথা চিরদিন মনে রবে। মনে রবে, সেই ভ্যাঁপসা গন্ধ অন্ধ-গল…

শেষ রাত্রের পান্ডুর চাঁদ নামিছে চক্রবালে, রজনী গন্ধা রূপসীর আঁখি জড়াইছে ঘুম-জালে। অলস চরণে চলিতে চলিতে ঢলিয়া ঢলিয়া পড়ে…